ধান-চাল বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে বড় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, চারদিনের মধ্যে চালের দাম কমিয়ে আগের দামে না আনলে মজুদকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দাম না কমলে প্রয়োজনে চাল আমদানি করা হবে বলেও জানান তিনি৷
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য টিম করেছি, কন্টোল রুম খুলেছি। শুক্রবার চালের বাজারে দেখা গেছে, গত ১৪ দিনের অভিযানে চালের দাম কেজিতে এক টাকা কমেছে। অর্থাৎ কোনো কারণ ছাড়াই এক লাফে পাঁচ টাকা বেড়ে যে চাল প্রতি কেজি ৭৪ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, শুক্রবার তা ৭৩ টাকায় কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। তবে পুরনো দামে আর ফিরে আসেনি চাল।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তারা অজুহাত দিয়েছে সবাই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। মিল সব বন্ধ ছিল, নির্বাচনের পর সবাই একসাথে মিল খুলেছে৷ এতে করে বাজারে বাড়তি চাপ পড়েছে। তাই দাম বেড়েছে।
এদিকে চালের বাজারে অস্থিরতার পেছনে মিলমালিক ও আড়তদারদের যোগসাজশ পাওয়ার কথা জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আড়তদারদের সঙ্গে মিল মালিকদের একদম যোগসাজশ আছে, যা দৃশ্যমান। ধান, চালসহ খাদ্যদ্রব্য মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। আমরা বসে নেই। এমনটা নয় যে মজুদকারীদের ধরছি না।’ ব্যবসায়ীরা কোনো ধরনের মজুদ করতে পারবে না বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
ঢাকায় চালের বাজারদর হিসাবে সর্বশেষ মোটা সিদ্ধ চালের দাম পাইকারী বাজারে কেজিপ্রতি ৪৪ থেকে ৪৬.৫০ টাকা এবং খুচরা বাজারে একই চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বাজারে এর সম্পূর্ণ বিপরীত দৃশ্য দেখা গেছে। কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেশিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
দাম না কমলে প্রয়োজনে আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেন, কি পরিমাণ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমদানির জন্য শূন্য শুল্কের জন্য ফাইল তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে বা আমাদের যখন প্রয়োজন হবে তখন আমরা আমদানি করবো।