মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। এছাড়া এ ঘটনায় এক শিশু আহত হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মর্টারশেলটি এসে পড়লে তারা মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড জলপাইতলীর ইউপি মেম্বার শফিকুল ইসলাম। মর্টারশেলের আঘাতে রান্না ঘরটি বিধ্বস্ত এবং লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। পুরো রান্নাঘরের রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। ছড়ানো ছিটানো খাবার।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর র্যাব-পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।
এদিকে চলমান সংঘর্ষে প্রাণহানি এড়াতে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে ঘুমধুম সীমান্তের ছয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া গোলাগুলির সময় নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু এলাকায় বেশ কয়েকটি মর্টারশেল এসে পড়ে। এতে ওই এলাকার যুদিষ্টি ধরের ছেলে প্রবীর ধর আহত হন।
বিজিবি সূত্র জানায়, রোববার ভোর থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।