পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কারাগার থেকেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তান-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছ, আদিয়ালা কারাগার থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন ইমরান খান। ইমরান খান ছাড়াও ই-মেইলের মাধ্যমে কারাবন্দি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ ইলাহি, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রধান শেখ রাশিদ ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী ভোট দিয়েছেন।
পাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচন নানা কারণেই আলোচিত। বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর দল পিটিআইয়ের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ও সরকারের বিরুদ্ধে।
তবে ইমরান খান ভোট দিতে পারলেও তার স্ত্রী বুশরা বিবি ভোট দিতে পারেননি। কারণ তিনি দোষী সাব্যস্ত ও গ্রেফতার হওয়ার আগেই পোস্টাল ভোটিংয়ের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল। বুশরা বিবি এখন ইসলামাবাদে ইমরান খানের বাসভবন ‘বানি গালা-তে বন্দি আছেন। বাসভবনটিকে সাব-জেল হিসেবে ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণপরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মোট ১৭ হাজার ৮১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৬৯৫ জনই লড়ছেন প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে। বাকি ৫ হাজার ১২১ জন লড়ছেন জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে।
নির্বাচনে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ১৬ হাজার ৯৩০ জনই পুরুষ এবং নারী মাত্র ৮৮২ জন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার ট্রান্সজেন্ডার প্রতিদ্বন্দ্বীও। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে ৬ হাজার ৩১ জন প্রার্থী বিভিন্ন দলের ব্যানারে নির্বাচন করছেন। বাকিরা লড়ছেন স্বতন্ত্রভাবে।
বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ডন জানিয়েছে, জেল প্রশাসন শুধুমাত্র সেই কয়েদিদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে যাদের বৈধ কম্পিউটারাইজড জাতীয় পরিচয়পত্র (সিএনআইসি) রয়েছে। বন্দিদের অধিকাংশের আসল সিএনআইসি না থাকায় পোস্টাল ব্যালটে করে ভোট দেওয়ার সংখ্যাও কম হয়েছে।