মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তরেখার সমুদ্রপথ ও নাফ নদীর সীমান্তরেখা বাদে স্থলপথের সীমান্তরেখা গতকাল (বুধবার) রাত পর্যন্ত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের মিয়ানমার অংশ থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপার পর্যন্ত মিয়ারমার অংশের সীমান্তরেখার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে আরাকান আর্মি।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন বলেন, সীমান্তে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। একজন রোহিঙ্গা নাগরিককেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আরাকান আর্মি মিয়ানমার সীমান্তে বিজিপির কাছ থেকে ক্যাম্পের দখল পুরোপুরি নিয়ে গেছে। এ কারণে গোলাগুলির মাত্রা কমেছে। এখন হয়তো জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নতুন কোনো কৌশল নিতে পারে। তবে মিয়ানমারের সীমান্তরেখা সরকারি বাহিনীর হাতে নেই। নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারের যে সীমানারেখা থেকে শুরু করে টেকনাফের আগে হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীরা নিয়েছে। এখন তারা টেকনাফের ওপারে মিয়ানমারের সীমানা ধরে এগোচ্ছে।