দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। কাজেই প্রয়োজন হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার জরুরি আইন প্রয়োগ করবে বলে জানালেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এবার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে স্বাভাবিক আইন প্রয়োগ করেই বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। প্রয়োজন হলে জরুরি আইন প্রয়োগ করা হবে। উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে মালামাল ট্রানজিটে আছে, সেগুলো দ্রুত খালাস করে বাজারজাত করার আহ্বান জানাই। যাতে করে শুল্ক সুবিধা সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে যায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, খেজুর, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি, চাল ও ভোজ্যতেলের আমাদনি শুল্ক কমানো হয়েছে। খেজুরের আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ শতাংশ, যা আগে ছিল ২৫ শতাংশ।
তেল-চিনির মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তেল এবং চিনির মূল্য আমাদের ট্যারিফ কমিশন নির্ধারণ করে দেয়। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমদানিকারক এবং উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বসে যৌক্তিক পর্যায়ে নতুন শুল্কের প্রভাব অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে দেব। রমজান উপলক্ষ্যে সেই দামে বিক্রি হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এনবিআরের সঙ্গে কথা বলব এবং উৎপাদক যারা আছে তারা কবে মাল আনছে সে হিসাব করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে বসে নতুন শুল্কের যে হিসাব সে অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করে দেব।