সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হচ্ছে আজ ১১ ফেব্রুয়ারি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, সময়ের ব্যবধান ১২ বছর বা এক যুগ। ১০৫ বার তারিখ পেছানো হলেও আদালতে জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন।
র্যাব পাঁচ বছর আগে আদালতে জমা দেওয়া অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলেছিল, ঘটনাস্থলে দুজন অজ্ঞাত পুরুষের ডিএনএর নমুনা পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত সেই দুজনকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত আদালতে জমা দেওয়ার তারিখ ১০৫ বার পিছিয়েছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং তাঁর স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন ভোরে তাঁদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সেদিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে সাংবাদিক সমাজ। পালন করা হয় বিভিন্ন কর্মসূচি।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে তদন্ত শেষ হয়নি এক যুগেও। এ পর্যন্ত ১০৫ বার তারিখ পেছানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের। সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। সেদিন প্রতিবেদন না দেওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেন।
১ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘তদন্তে যত দিন সময় লাগে সঠিকভাবে দায়ী নির্ণয় করতে, তাদের ততটুকু সময় দিতে হবে। সেটা যদি ৫০ বছর হয়, ৫০ বছর দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা জিনিস আমাদের লক্ষ করতে হবে, যাঁরা তদন্ত করেন, তাঁরা যতক্ষণ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ইয়ে (রহস্য) উদ্ঘাটন না করতে পারেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত শেষ করা সমীচীন হয় না। এই মামলার তদন্ত একটু কঠিন। তদন্তকারী সংস্থা সঠিকভাবে তদন্ত করে এ মামলার সুরাহা করবে। যাঁরা অপরাধী, তাঁদের অবশ্যই ধরা হবে।’