অপহরণের শিকার হওয়া একমাত্র ছেলে তাওহীদ হোসেনকে (১০) ফিরে পেতে মুক্তিপণ দিয়েছিলেন তিন লাখ টাকা। তবে ছেলেকে পাননি, অপহরণের ৩৬ ঘণ্টা পরে পেয়েছেন তার লাশ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছন থেকে তাওহীদ হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাওহীদ হোসেন আব্দুল্লাহপুর রসুলপুর মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, মকবুল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। ভুক্তভোগী পরিবারের বাসায় কিছুদিন আগে কাজ করেছেন। তার ধারণা ছিল তাওহীদের বাবা প্রবাসী হওয়ায় মোটা অঙ্কের অর্থ মুক্তিপণ আদায় করা যাবে। এ জন্য ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
র্যাব আরও জানায়, ১০ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাওহীদকে অপহরণ করেন মকবুল। পরে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে তাকে বেঁধে রাখেন। পরে ফোন দিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে তাওহীদ চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ একটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন।
চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারীকে মুক্তিপণের টাকাসহ রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয় বিস্তারিত জানাবেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।