বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনের রাফাহ শহরে ইসরায়েলী হামলা বন্ধের দাবি জোরালো হলেও সব চাপ উপেক্ষো করে রাফাহ আক্রমণের পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
আন্তর্জাতিক চাপকে প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, তার সৈন্যরা গাজার রাফাহ শহরের দিকে অগ্রসর হবেই। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই হামলার বিষয়ে সর্বশেষ নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের মানবিক মূল্য ‘অসহনীয়’। কিন্তু নেতানিয়াহু তার সেনাবাহিনীকে স্থল হামলার জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে এই অভিযানে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি।
চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে ঘর-বাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি বর্তমানে রাফাহতে আশ্রয় নিচ্ছেন। যদিও মিসর সীমান্তবর্তী এই শহরটি ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ বিজয় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করব এবং এর মধ্যে রাফাহ শহরের বিষয়ে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমরা বেসামরিক জনগণকে যুদ্ধের অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার পর রাফাহতে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অবশ্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বুধবার নেতানিয়াহুকে ফোন করে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের অভিযান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তিনি রাফাহতে ইসরায়েলি আক্রমণের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের দৃঢ় বিরোধিতার কথাও জানিয়ে দেন।
ম্যাক্রোঁ বলেছেন, রাফাহতে ইসরায়েলি আক্রমণ শুধুমাত্র নতুন মাত্রার মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতিতে তাদের উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, রাফাহতে একটি সামরিক অভিযান হবে ‘বিপর্যয়কর’।