বিশ্বব্যাপী ২০২৩ সালে মোট ৯৯ জন সাংবাদিক নিহত হন। এর মধ্যে ৭২ জন ফিলিস্তিনি। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবেদন করতে গিয়ে তারা নিহত হন। বিশ্বব্যাপী নিহত সাংবাদিকদের প্রায় ৭৫ শতাংশই ফিলিস্তিনি শিকার।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) বলছে, গত এক দশকে এ ধরনের হত্যা গণমাধ্যমের জন্য মারাত্মক হুমকি।বৃহস্পতিবার সিপিজে প্রকাশিত তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, গাজায় চলমান যুদ্ধে নিহত না হলে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের হত্যার ঘটনা অনেক কমে যেত।
সারা বছরে একটি দেশে যত সাংবাদিক নিহত হন। এর চেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রথম তিন মাসে। গত ডিসেম্বরে সংস্থাটি বলছে, গাজায় কাজ করার সময় ৭৭ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭২ জন ফিলিস্তিনি, তিনজন লেবানিজ ও দুইজন ইসরায়েলি।
নিউইয়র্ক গিন্সবার্গ থেকে সিপিজের সভাপতি জোডি আল জাজিরাকে বলেন, সাংবাদিকদের হুমকির ক্ষেত্রে এই যুদ্ধটি নজিরবিহীন। তিনি বলেন, এ যুদ্ধ সম্পর্কে যা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো; গাজায় যা ঘটেছে সেখানকার সাংবাদিকরাই তার প্রতিবেদন করতে সক্ষম। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মীদের সেখানে প্রবেশ করতে দেয়নি।
সিপিজের সভাপতি আরও বলেন, গাজা যুদ্ধের খবর পরিবেশনে আমরা সম্পূর্ণরূপে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ওপর নির্ভরশীল। যারা আমাদের এই গল্পটি জানানোর জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, গাজা যুদ্ধে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
সিপিজে এর আগে গাজায় নিহত এক ডজন সাংবাদিককে ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি সৈন্যরা হত্যা করেছে কিনা তা তদন্ত করছে, যা একটি যুদ্ধাপরাধ।