তিনি বলেন, ‘কিছু লোক দেশের অগ্রগতি ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা চায় না। তারা এখন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেশের সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আপনাদের (প্রবাসী বাংলাদেশিদের) সঠিক তথ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী মিউনিখে তাঁর আবাসস্থলে ইউরোপ প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেসব দেশে অবস্থান করছেন সেসব দেশের রাজনীতিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের বিদেশি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সারা বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বেশ কয়েকটি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশি প্রবাসীদের বাংলাদেশে ব্যক্তিগতভাবে বা বিদেশী অংশীদারদের সাথে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশ এবং এর জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাঁর সরকারের পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা তৃণমূল পর্যন্ত উন্নয়ন নিশ্চিত করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে এবং ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে যাত্রা শুরু করবে।
‘সুতরাং, প্রবাসী বাংলাদেশিরা একটি উন্নয়নশীল দেশের দিকের যাত্রাকে মসৃণ করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে বলে উল্লেখ করে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রত্যেককে দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বর্ণনা করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের পর গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।