ভারতের তামিলনাড়ুর ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় হাওয়াই মিঠাইয়ের নমুনায় রাসায়নিক যৌগ রোডামাইন-বি’র উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এরপরই রাজ্য সরকার সেখানে হাওয়াই মিঠাইয়ের বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
এই রাসায়নিকের ব্যবহার হাওয়াই মিঠাইয়ে এক ধরনের উজ্জ্বল গোলাপী আভা দেয়। যদিও সাধারণত তৈরি পোষাক, বিভন্ন ধরনের প্রসাধনী এবং রঙের কাজে এই রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, রাসায়নিকটি ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে খাদ্যের রঙ হিসেবে রোডামাইন-বি’র ব্যবহারকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরীতে হাওয়াই মিঠাই বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশটির অন্যান্য রাজ্যেও এই মিষ্টান্নের নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
তামিলনাড়ুর চেন্নাই শহরের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা পি সতীশ কুমার দেশটির দৈনিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, হাওয়াই মিঠাইয়ে থাকা দূষিত পদার্থের কারণে ক্যানসার হতে পারে। এমনকি তা শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে।
তার নেতৃত্বাধীন একটি তদন্ত দল গত সপ্তাহে চেন্নাইয়ের এক সমুদ্র সৈকতে হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে। কুমার বলেন, শহরে বিক্রি করা হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতারা ব্যক্তিগতভাবে তৈরি করেন। তারা নিবন্ধিত কোনও কারখানায় এটা তৈরি করেন না।
হাওয়াই মিঠাই নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যা সুব্রামানিয়ান এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্যাকেজিং, আমদানি, খাবার বিক্রি বা বিয়ে ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে রোডামাইন-বি ব্যবহার করে তৈরি করা খাবার পরিবেশন করা হলে তা ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট, ২০০৬ এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
তামিলনাড়ুর এই সিদ্ধান্তের পর প্রতিবেশী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশও ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার জন্য হাওয়াই মিঠাইয়ের নমুনা পরীক্ষা শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা রাজধানী নয়াদিল্লিতেও হাওয়াই মিঠাই নিষিদ্ধ করার ওপর জোর দিচ্ছেন।