শিগগিরই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করতে চলেছে সরকার। রমজানের আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি সর্বোচ্চ ৭৫ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৩৪ পয়সা কার্যকর হবে। দাম বাড়ানোর গেজেট আজই (মঙ্গলবার) জারি হতে পারে। তিনি বলেন, ভর্তুকি তুলে নেওয়ার অংশ হিসেবে আগামী ৩ বছর বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে।
এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নাভিশ্বাস অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে বছরের শুরুতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ জনগণের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্যাসের দামও বাড়ছে তবে সেটি বাসাবাড়ির গ্রাহক ও শিল্প পর্যায়ে নয়। শুধুমাত্র যে গ্যাস ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় সেই গ্যাসের দাম বাড়তে পারে।বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়েছিল সরকার।
গত মঙ্গলবার সচিবালায়ে এক ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, ডলারের দাম এত বেশি বেড়ে গেছে যে জ্বালানির দাম সহনীয় থাকলেও লোকসান হচ্ছে। সেজন্য দাম সমন্বয় করা হবে। তবে দাম খুব সামান্যই বাড়তে পার। লাইন গ্রাহকের (৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী) মাসের বিল ২০ টাকার মতো বাড়তে পারে। এখন তারা যদি একটু সাশ্রয়ী হন, তাহলে বিল আগের অবস্থায় থাকবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের মিতব্যয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করা।
এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নাভিশ্বাস অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে বছরের শুরুতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ জনগণের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।