অনেক নাটকীয় অবস্থা এবং জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষপর্যন্ত পাকিস্তানের পরবর্তী সরকারের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের পর ২১ দিনের মধ্যেই নতুন সরকারের প্রথম অধিবেশন বসতে হয়। সে অনুযায়ী নতুন সরকারের প্রথম অধিবেশন বসার শেষ দিন হলো আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে।
গতকাল পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে বেশ কথা বলেন পিএমএল-এন সুপ্রিমো ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি বলেন, বিশেষ কিছু এজেন্ডায় সব রাজনৈতিক দলের একমত হওয়া উচিত। তার কথায়, আপনারা নিজেদের রাজনীতি করুন, বিরোধী দলও রাজনীতির একটি অংশ- তবে পাকিস্তানকে কখনো বিপদে ফেলবেন না।
নিজে প্রধানমন্ত্রী না হয়ে ছোট ভাই শেহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত করা নিয়ে নওয়াজ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেহবাজ সবচেয়ে উপযুক্ত প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী। এ সময় তিনি শেহবাজের কর্মক্ষমতার প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, তিনি (শেহবাজ শরিফ) যেভাবে দেশকে খেলাপি হওয়া থেকে রক্ষা করেছে তা নজিরবিহীন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে পাকিস্তান বর্তমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পিপিপি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনার সময় জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট আলভির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হবে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বর্তমানে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন না ডেকে সংবিধান লঙ্ঘন করার দায়ে আরেকটি মামলা দায়ের করা হবে। অন্যদিকে হবু প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আবারও সংবিধান লঙ্ঘন করলেন।
পাকিস্তানে এক দিকে সরকার গঠন প্রক্রিয়া চলছে, অন্যদিকে কারাবন্দি ইমরান খান সরকারবিরোধী অবস্থান আরও দৃঢ় করছেন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে তিনি চিঠি লিখিছেন, ঋণের পরবর্তী কিস্তি দেওয়ার আগে যেন তারা নতুন সরকারকে যাচাই করে দেখে। এর জবাবে গতকাল আইএমএফ জানিয়েছে, তারা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে বেশি নজর দিবে।