সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে চিত্রনায়িকা পরীমণি ও অভিনেতা ডি এ তায়েবের চলচ্চিত্র ‘কাগজের বউ’। যেটি পরিচালনা করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। এই সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন। সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে ডি এ তায়েব ও ইমনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
‘কাগজের বউ’র প্রধান চরিত্রে ইমন অভিনয় করলেও, তাকে পাওয়া যায়নি সিনেমার কোনো প্রচারণায়। উল্টো এক সাক্ষাৎকারে এই চিত্রনায়ক বলেছেন, ‘সিনেমাটি কীভাবে চলচ্চিত্র হিসেবে মুক্তি পেয়েছে, এটাই বুঝিনি। শুটিং শুরুর আগে পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী একদিন আমাকে ফোন করে বললেন, ইমন আমি একটা ওয়েব ফিল্ম বানাব, গল্পটা হচ্ছে এ রকম। বললাম, অন্য আর্টিস্ট কে কে থাকবেন? তখন তিনি বলেন, পরীমণি, ডি এ তায়েব। তারপর গল্পটা শুনে রাজি হয়েছি। শুটিং করলাম।’
‘কাগজের বউ’ সিনেমায় তার কিছু অংশের শুটিং হয়নি অভিযোগ করে ইমন বলেন, ‘কী কারণে যেন আমার কিছু অংশের তো শুটিং-ই হয়নি। একটা সময় শুনি, এটার প্রযোজক ডি এ তায়েব ভাই। পরে অবশ্য এত কিছু আর ভাবিনি। যেহেতু পরীমণির সঙ্গে কাজই হয়নি, গল্পটাও ভালো। ভাবলাম, ওয়েব ফিল্ম হিসেবে একটা কাজ হোক। পরিচালক থেকে শুরু করে আমরা শিল্পীরা সবাই জানি, এটা ওয়েব ফিল্ম। কিন্তু পরে শুনি, ফুটেজ দেখার পর প্রযোজকের মনে হয়েছে এটা ফিল্ম হয়ে যেতে পারে।’
ইমনের এমন মন্তব্যে পছন্দ হয়নি ডি এ তায়েবের। সম্প্রতি এই দুই অভিনেতার একটি ফোন রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে ইমনকে উদ্দেশ্য করে ডি এ তায়েবকে বেশ কিছু কথা বলতে শোনা যায়।
ফাঁস হওয়া সেই অডিওতে ডি এ তায়েবকে বলতে শোনা যায়, ‘ইমন তোমার একটি ইন্টারভিউ দেখলাম, তুমি কিন্তু খুব অন্যায় করেছ। আমি কিন্তু কখনোই তোমাকে কাস্টিং করি নাই, আর আমি এই সিনেমার প্রযোজকও না। তোমার কাছে চুক্তিপত্র থাকলে তা দেখাও নইলে বিপদে পড়বা।’
এরপর চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির অতীতের একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তোমার জন্য মাহিও সিনেমাটি করেনি। তুমি একবার একটা কাজ করে মাহির সর্বনাশ করেছ। তোমার কাজের জন্য একজন মন্ত্রীর মন্ত্রীত্ব চলে গেছে। আমি ধরলে কিন্তু পচে যাবা, তোমার পেছনে যে কেউই থাকুক না কেন!’
ইমনকে উদ্দেশ্য করে ডি এ তায়েব আরও বলেন, ‘আমি তোমার মতো মানুষকে কখনো কোনো সিনেমায় নিব না। আইন প্রমাণ চায় সব সময়। তুমি টিভি চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিয়ে বড় কিছু হয়ে যাও নাই। প্রমাণ থাকলে দেখাও, নাইলে তুমি কিন্তু বিপদে পড়ে যাবা। জ্ঞানে আসো, হুঁশে আসো।’
এদিকে অডিও রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ডি এ তায়েব। তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘হ্যাঁ অডিওটি আমার ইমনের কথোপকথনের অংশ। যেটা কোনোভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।’
সবশেষ ইমনকে এই অভিনেতা বলেন, ‘অডিও বিক্রি করবা না ইমন। ভবিষ্যতে এমন করবা না কখনো। আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছো, সেই অডিও আছে। আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু এসব করো না।’