পারিবারিক সম্মান ক্ষুণ্ন হবে ভেবে যে কথা আমি এতদিন বলিনি এ খন তা বলতে বাধ্য হচ্ছি। বাবার বিরুদ্ধে খন্দকার মুশতাকের কাছ থেকে ফ্ল্যাট ও ৩০ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ করেছেন অসমবয়সী বিয়ের জন্য আলোচিত-সমালোচিত ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা।
শনিবার বিকেলে গুলশান-১-এর একটি বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিয়ের পর আমার বাবা এক ফুপার মাধ্যমে যোগাযোগ করে একটি ফ্ল্যাট ও ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন। বিষয়টি আমি এতদিন বলিনি। কারণ, আমি চাইনি আমার পারিবারিক সম্মান ক্ষুণ্ন হোক। কিন্তু এখন এসব বলতে হচ্ছে। আমাদের কাছে এর প্রমাণও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে (তিশার বাবা) আমাদের হয়রানি করতে চাচ্ছে। কখনও কান্না করছে, কখনও মানুষের সমাবেদনা পেতে চাইছে। তার এসব আচরণ আমাকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে ফেলেছে।’
তিশা বলেন, ‘আমার বাবা বলেছেন, আমাকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। জিম্মি করে রাখা হয়েছে–কথাটা মিথ্যা। আমি নিজের ইচ্ছায় খন্দকার মুশতাককে বিয়ে করেছি। আমি প্রাপ্তবয়স্ক, আমি আমার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পারি। আমাকে কেউ জোর করেনি।’
এর আগে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিশার বাবা মুশতাকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন তিনি বলেছেন মুশতাক তিশাকে জিম্মি করে রেখেছেন। তিশা বলেন, মুশতাক তাকে জিম্মি করে রাখেননি বাবা মুশতাকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। সেসব অভিযোগের বিরুদ্ধেই সংবাদ সম্মেলন করেন মুশতাক-তিশা।