রাজধানীতে রেস্তোরাঁয় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ,বেইলি রোডে রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জন মারা যাওয়ার পর। অনিয়ম ও অবব্যবস্থপনার ধানমন্ডিতে ১৫টি রেস্তোরাঁয় অভিযোগে ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৩ মার্চ) ধানমন্ডি, গুলশান, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রাজধানীতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আছে কিনা, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে কিনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু, অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়টি দেখা হয়। রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত আটক করা হয়েছে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ৩৫ কর্মীকে। তাদের মধ্যে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকও রয়েছেন। এছাড়া যেসব রেস্তোরাঁয় ছোটখাট অনিয়ম পাওয়া গেছে তাদের মুচলেকা রেখে সতর্ক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ধানমন্ডির হোয়াইট হল নামের রেস্তোরাঁর শামীম হোসেন তুহীন, ম্যারিটেজ ঢাকার খুরশীদ আলম, এ্যারিস্টোক্যাটের সাব্বির হোসেন, আদি কড়াই গোস্তের খালিদ হোসেন, দি লবি লাউঞ্জের মারুফ হোসেন, ইয়ামচা ডিস্ট্রিক্টের পুলক বিশ্বাস, ক্যাফে ডোলচের আশিক তালুকদার, ক্যাফে সাওপাওলোর শাহিন সারোয়ার, ক্যাপিট্যাল লাউঞ্জের রেদুয়ান আহম্মেদ, পার্ক এন্ড স্ট্রার্টের মিজানুর রহমান, খানাজের শরিফুল ইসলাম, ক্যাফে ইউফোরিয়ার আল আমিন, টুইন পার্কের আল আমীন মোস্তফা তালুকদার, স্টার দেশীর মেহেদী হাসান, ডিকে-১৩ এর রাসেল পালমা, বেস্টার প্রের আমিনুল ইসলাম রিফাত, চা-টাইপের সামিত আলম সিয়াম, চয়ন হালদার ও বিবিকিউ’র সুমিত রায়।
পুলিশের মাঠ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালানো হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে আগে সেভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়নি। এ কারণে মাঠপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় প্রাণ হারান ৪৬ জন। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। আহত ১৩ জনের মধ্যে ৬ জনকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসকরা। বাকিদের চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে ১৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।