চেক প্রতারণার মামলায় ই-ভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো: সেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী সাবিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে এসব মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন আদালত।
গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: আলী হায়দারের আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
আইনজীবী সাদিকুর রহমান তমাল জানান, ২০২১ সালের ১৩ মার্চ মামলার বাদি তানভীর হোসেন বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোটরসাইকেল কেনা বাবদ দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। তবে নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হন।
এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ই-ভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক দেন। চেকটি নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে সর্বশেষ গত বছরের ২২ অক্টোবর তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় শামীমা নাসরিন ও মো: রাসেলের বিরুদ্ধে বাদি মামলা করেন।
এদিকে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ সেল ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কাওরান বাজারের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যালয়ে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার কার্যক্রমে অংশ নেন। সেখানে তিনি বলেন, ই-ভ্যালির কাছে প্রত্যেক পাওনাদারের দেনা পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে যারা অভিযোগ করেছেন অথবা যারা অভিযোগ করেননি সবাইকেই তালিকা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হবে।