জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সরকার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পুর্নভাবে ব্যর্থ। সোমবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, বৈধ ও অবৈধভাবে টাকা উপার্জনকারী ব্যবসায়ীরা শুধু আমদানির সুযোগ পাচ্ছেন কিন্তু চাহিদা মেটাতে পারছেন না। দেশের নীতি-নির্ধারক কেউ কেউ আমদানির সঙ্গে জড়িত। এসবই সরকারকে সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি করে রেখেছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকা দরকার। এ প্রতিযোগিতা না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। দেশের মানুষ ভালো নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জিনিসপত্রের দামে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
সম্প্রতি রওশন এরশাদের কাউন্সিল প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘যারা এসব করছেন, তারা বেশিরভাগই জাতীয় পার্টির কেউ না। তাছাড়া এসব আইনি কোনো কাঠামোর মধ্যে থেকে হচ্ছে না। এসব বেআইনি।’
তিনি বলেন, ‘যারা জাতীয় পার্টির নামে বেআইনি কিছু করছেন, তাদের হল ভাড়া ও অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়ে সরকার তাদের কিছুটা পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বেআইনি কাজে পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ না হলে দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি বাধাগ্রস্ত হবে। এতে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতি প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘সংসদের সমাপনী ভাষণে আমি বলেছি, নির্বাচন আইনগতভাবে হয়েছে, তবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। নির্বাচনে জনগণের চাওয়া পাওয়া প্রতিফলিত হয়নি। নির্বাচনটা ফ্রি স্টাইলে হয়েছে। তিন ধরনের নির্বাচন হয়েছে। কোথাও পূর্ব নির্ধারিত ছিল, আবার কোথাও সরকারের ইচ্ছের প্রতিফলন হয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায়, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি।’
উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রংপুরে জাতীয় পার্টির অবস্থান ভালো। দেশের অন্যান্য স্থানে সেই তুলনায় কম। তবে জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে। জাতীয় পার্টি এখন পর্যন্ত সবধরনের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনের সমস্যাগুলো জানা যাচ্ছে।’
এসময় জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় নেতা আজমল হোসেন লেবু ও লোকমান হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।