সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশের নিশানধারী জাহাজ এমভি আবদুল্লা। ভারত মহাসাগর থেকে বাণিজ্যতরীটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদুস্যরা। জাহাজে থাকা ২৩ জন নাবিককে পণবন্দি করা হয়। খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত সেই জাহাজটি উদ্ধারের জন্য ছুটে যায় ভারতীয় রণতরী। অপহরণের দুই দিন পর জলদস্যুদের পরাস্ত করে জাহাজটিকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা।
জানা গেছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা সাগরে পথে দুই হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরে একটি পণ্যবাহী জাহাজ রুয়েন-কে কোণঠাসা করতে সমর্থ হয়। ওই জাহাজটি জলদস্যুরা গত ১৪ ডিসেম্বর ছিনতাই করেছিল এবং সেটিকে অন্যান্য ছিনতাই কাজে গত তিন মাস ধরে ব্যবহার করে আসছিল। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই অভিযানে মেরিন কমান্ডোরা কয়েকটি জাহাজ, ড্রোন এবং এয়ারক্রাফটও ব্যবহার করে।
ভারতীয় এয়ারক্রাফটটি যখন ছিনতাই হয়ে যাওয়া জাহাজের কাছাকাছি পৌঁছায় তখন সেটিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে জলদস্যুরা। এছাড়া ছিনতাই হয়ে যাওয়া জাহাজের পথ আগলে দাঁড়ালে নৌ বাহিনীর একটি জাহাজে আক্রমণও চালায় জলদস্যুরা। শুক্রবার হামলার শিকার হওয়ার পরও ভারতীয় নৌবাহিনী ওই জাহাজটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান নেয় এবং জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ও জিম্মিদের মুক্ত করে দিতে বলে।
শনিবার একটি টহল এয়ারক্রাফট ও ড্রোনের সহায়তায় এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস সুভদ্রর সহযোগিতায় জলদস্যুদের জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারতীয় নৌসেনারা। এই কাজে মেরিন কমান্ডোর আট সদস্যের একটি স্কোয়াড বিমান থেকে জাহাজে নেমে আসে এবং জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে ও নাবিকদের মুক্ত করে।