প্রেম-বিচ্ছেদ বা বিষণ্নতার গানে আশি ও নব্বইয়ের দশকে সংগীতাঙ্গনে মুখর কণ্ঠশিল্পী খালিদ মারা গেছেন। ৫৬ বছর বয়সেই অনন্তের পথে পাড়ি দিলেন ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’ গানের শিল্পী।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সংগীতশিল্পী খালিদ। পরে রাত ১১টায় রাজধানী ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাযে জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে রাতেই গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়।
তিনি যখন হাসপাতালের পথে, তখন তার সন্তান স্কুলে। হ্যাঁ ঢাকা থেকে প্রায় আট হাজার মাইল দূরে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের একটি স্কুলে। কয়েক মাস আগে যখন পরিপাটি নিশ্চিত জীবন রেখে দেশে ফিরেছেন গায়ক খালিদ, তখন নিশ্চয়ই কিশোর সন্তান জুয়াইফা আরিফের কাঁধে হাত রেখে বলে এসেছেন, ‘আবার দেখা হবে, এখনই শেষ দেখা নয়’। পুরো জীবন জুড়ে ‘সরলতার প্রতিমা’ হয়ে থাকা প্রিয়তমা স্ত্রীও আছেন সন্তানের সঙ্গেই।
তাকেও নিশ্চয় বলে এসেছেন, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’ আমি ফিরব। কিন্তু সেসবের কিছুই হয়নি। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার খানিক পরেই বেসরকারি হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়ে দেন, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’। ফেরেননি খালিদ। রেখে গেছেন তার স্ত্রী, সন্তান, সহকর্মী আর অসংখ্য ভক্তদের। মাত্র ৫৬ বছর বয়স তার।
বাবার মৃত্যুর পর সাংবাদিক, উপস্থাপক তানভীর তারেকের মাধ্যমে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন সন্তান জুয়াইফা আরিফ। সেই ভিডিওতে সদ্য প্রয়াত বাবার জন্য দোয়া চেয়ে বলেছেন, ‘আমার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। তাকে মাফ করে দিয়েন।’