দেশের অর্থনীতিতে বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতিতে আরও সমৃদ্ধি আসবে বলেও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাগুলোর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২০২৩-২৪ এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাজে ভিন্নতা আছে। পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করতে হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিনাল, পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল ইত্যাদি কাজ শেষ হলে অর্থনীতিতে আরও সমৃদ্ধি আসবে।
তিনি বলেন, ওয়াটার ওয়েকে আরও বেশি স্মুথ করতে পারলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আরও ওপরের দৃষ্টিতে আসবে। সঠিক সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারা বড় ধরনের দুর্বলতা। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। প্রকল্পের কাজ সময়মতো সম্পন্ন করা ও অর্থের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে ২৮টি এডিপিভুক্ত, তিনটি নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্প। এ জন্য বরাদ্দ পেয়েছে ১০ হাজার ১৪৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৯ হাজার ৪৭৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ৬৭৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
এডিপিভুক্ত ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৪টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দুটি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চারটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) একটি, নৌপরিবহন অধিদফতরের একটি, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের একটি এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির একটি প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি প্রকল্প।