মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য সুখ, সবাই সুখী হতে চায়। তারপরও অনেকেই সুখের নাগাল খুঁজে পান না। মানুষকে সুখী করে তোলা ও সুখ খুঁজতে উৎসাহিত করতে প্রতিবছর ২০ মার্চ দিবসটি পালন করা হয়। তাই আজ বিশ্ব সুখ দিবস।
২০১২ সালের ২৮ জুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনে এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অধিবেশনে জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের প্রতিনিধিরা দিবসটিকে স্বীকৃতি দেন।
সুখ দিবস পালন বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রস্তাবে বলা হয়, মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য সুখে থাকা। ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিতে দিবসটি পালন করা হবে। সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ওপর পূর্ণ এক বছর জরিপ পরিচালনা করে এই দিবসে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে থাকে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ওপর পূর্ণ এক বছর জরিপ চালানোর পর দিবসটিতে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে থাকে জাতিসংঘ।
‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪’ এর হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৩ দেশের মধ্যে ১২৯তম। তালিকায় টানা ৭ বছর শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ এ রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, ইসরায়েল, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া।
আন্তর্জাতিক সুখ দিবস মানুষকে এই বিষয়টি বিবেচনা করতে উৎসাহিত করে যে, সুখ খোঁজার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যার মধ্যে অন্যদের সঙ্গে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক, মানসিক সুস্বাস্থ্য এবং আত্মতৃপ্তির বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।