ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ৩২ হাজারের কাছাকাছি। গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নিজেদের লাইভ আপডেটে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩১ হাজার ৯২৩ ফিলিস্তিনি। আর আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৯৬ জন। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।
আল জাজিরা বলছে, শহরে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরে তিনটি পৃথক ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২৮ জনের জানাজা মধ্য গাজার একটি হাসপাতালের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ফুটেজে দেখা গেছে, দেইর আল-বালাহ-তে দাফনের জন্য গাধার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার আগে লোকেরা লাশের সামনে জানাজার নামাজ পড়েন।
কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর এমন আচরণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের বদলে গত রোববার মিশরের সীমান্তবর্তী রাফা শহরে স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। যেখানে হামলার মুখে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে অবিরাম হামলা অব্যাহত রয়েছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।