দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। খালেদা জিয়ার পরিবারের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই শর্তে (বিদেশে যেতে পারবেন না ও ঢাকায় থেকে চিকিৎসা) এ মতামত দেওয়া হয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আগামী ২৪ মার্চ শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। গত ৬ মার্চ তার পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা ফের আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়। এরপর সেটা মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
দুর্নীতিতে দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে, তবে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদনে এবারও সায় দেয়নি সরকার। আগের মতই ঢাকার বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার এবং বিদেশে না যাওয়ার শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এখন পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা সেরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশান বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে তিনি আক্রান্ত। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে বিএনপি বরাবরই দাবি জানিয়ে আসছে। এর আগেও পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েক দফা আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু তা নাকচ করে দেয় সরকার।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। করোনা মহামারির মধ্যে চার বছর আগে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাদণ্ড ৬ মাস স্থগিত করার পর কারাগার থেকে মুক্তি পান খালেদা জিয়া।