ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে ঘরে জমা গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের চার জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দগ্ধ সবাইকে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে ধামরাই পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মোকামটোলা এলাকার প্রবাসী ইব্রাহিম হোসেনের চার তলা ভবনের নীচ তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন, ভাড়াটিয়া নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), মেয়ে নিশরাত জাহান সাথী (২২) ও ছেলে আল হাদী সোহাগ (১৮)। অগ্নিকান্ডে দগ্ধ নান্নু মিয়া ঢাকার ম্যালেরিয়া হাসপাতালের ব্লক সুপার ভাইজার হিসেবে কর্মরত থেকে চাকুরী জীবন শেষ করে বর্তমানে এলপিআরএ আছেন, স্ত্রী সুফিয়া গৃহিনী, কন্যা সাথী গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী হিসেবে অধ্যয়নত , পুত্র সোহাগ এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
নুরুল ইসলামের ভাতিজা জানান, সেহরীর সময় খবর পাই আমরা, চাচী সেহরী রান্না করতে উঠলে তখন হয়তো বিস্ফোরণ হয়েছে, আমরা এসে দেখি ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘরের আসবাবপত্র সব পুড়ে গেছে, একটা মোটর সাইকেল ছিলো ঘরে সেটিও বিস্ফোরণ হয়ে পুড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো: তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধ সুফিয়া বেগমের শরীরের ৮০ শতাংশ ও নুরুল ইসলাম নান্নুর ৪৮ শতাংশ আল হাদী সোহাগের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। এছাড়া ওই দম্পতির মেয়ে নিশরাত জাহান সাথীর শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর রিফফাত আরা বলেন, ভোর রাত চারটার দিকে আগুনে দগ্ধ চারজন রোগী রিসিভ করা হয়, তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, ‘ফ্ল্যাটটিতে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার ছিলো, প্রাথমিক তদন্তে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করছি।’