কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র গ্রুপের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমসহ (৫৫) দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চেওসিম বম জেলার ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শারণ পাড়ার মৃত রোয়াল খুব বমের ছেলে। আর গ্রেপ্তার অপরজনের নাম রোয়াল লিন বম (৫৫)।
রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব -১৫ এর বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ।
তিনি বলেন, অভিযান চলমান রয়েছে। নাথান বমের সঙ্গে আত্মীয়তা সম্পর্ক রয়েছে চেওসিম বমের। বান্দরবানের শারণ পাড়ার মৃত রোয়াল খুব বমের ছেলে চেওসিম। আমরা চেওসিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যদের অবস্থান ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।
সকালে বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা হয়ত জেনেছেন গতকাল রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরপরই চেওশিম বমকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানালো র্যাব। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিকেল ৩টায় বান্দরবান র্যাব কার্যালয়ে ব্রিফিং ডেকেছে সংস্থাটি।
র্যাব বলছে, রোয়াল লিন বম (৫৫) এবং চেওসিম বম (৫৫) বান্দরবানে প্রথম কেএনএফ গঠন করে। তাদের সঙ্গে কেএনএফ প্রধান নাথান বমের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে জঙ্গি নেতা শামীম মাহফুজের সঙ্গে কেএনএফের যে চুক্তি হয়েছিল সেটি হয়েছিল চেওসিম বমের বাসায়।
এদিকে নাথান বম বছর দুয়েক ধরে নিজেকে আড়ালে রেখেছেন। বর্তমানে তিনি ভারতের মিজোরামে অবস্থান করছেন বলে জানা যাচ্ছে। বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ও থানায় হামলার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে স্নাতক করা নাথান আবার আলোচনায়। এই হামলার নেপথ্যে তিনি রয়েছেন বলে ধারণা অনেকের।