বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জেরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সন্ত্রাস কর্মকান্ডের জেরে নিরাপত্তা জোড়দার করেছে প্রশাসন।
এপিসে হচ্ছে যুদ্ধে ব্যবহৃত একপ্রকার অস্ত্রসজ্জিত বাহন যা পদাতিক বাহিনীকে রণাঙ্গনে আনা-নেয়ায় ব্যবহৃত হয়। দুই উপজেলার সার্বিক নিরাপত্তায় নেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন পদক্ষেপ। এরই অংশ হিসেবে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ সাঁজোয়া যান এপিসি আনা হয়েছে এ দুই উপজেলায়, যা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল দেবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত শনিবার বান্দরবানের রুমা উপজেলা পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরিদর্শন শেষে তিনি জানিয়েছেন সাম্প্রতিক ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে সেনা প্রধানকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িতরা যদি দেশের বাইরেও থাকে তাদের ইন্টারপোলের সাহায্যে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে যৌথ অভিযানে আটক হয়েছেন রুমা, থানচি উপজেলায় হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত কেএনএফ সংগঠনের উচ্চপর্যায়ের এক নেতা। এরই মধ্যে জেলার ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা রুমা ও থানচির নিরাপত্তায় আনা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাঁজোয়া যান এপিসি।
এপিসিতে অস্ত্র হিসেবে মূলত ভারী অস্ত্রের মধ্যে রিকয়েললেস রাইফেল, ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল বা মর্টার শেল ব্যবহার করা হয়। মূলত পদাতিক বাহিনীকে বিভিন্ন ঝটিকা অভিযান এড়িয়ে নিরাপদে মূল যুদ্ধ ময়দানে পৌঁছে দিতেই এপিসি ব্যবহৃত হয়।
বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমি বলেন, জনসাধারণের নিরাপত্তায় চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় এপিসিগুলো রুমা, থানচি উপজেলায় ব্যবহৃত হবে।