পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা কলাপাড়া এলাকায় মাটিতে পড়ে আছে প্রায় অর্ধশত বিদ্যুতের খুঁটি। গাছ পড়ে তার ছিড়ে আছে শতাধিক জায়গায়। রাত নামলেই অন্ধকার নগরীতে পরিণত হয় পুরো উপজেলা।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল থেকে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের ভয়াবহ চিত্র। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাটিতে পড়ে আছে শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে তিন থেকে চার দিন। এতে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে উপজেলার লোকজন।
গ্রাহকদের দাবি খুব দ্রুত যেন বিদ্যুতের লাইনগুলো ঠিক করে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়।
উপজেলার বিভিন্ন কুয়াকাটার বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল খান এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান জানান, গত তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন কুয়াকাটা এলাকা। আমাদের হোটেলে থাকা পর্যটকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে যাচ্ছি জেনারেটরের মাধ্যমে। পর্যটন নাগরী কুয়াকাটার লাইনগুলো ঠিক করে সবার আগে এই এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে কলাপাড়া উপজেলা একটি। গত দুদিন ধরে কলাপাড়া উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে তারা চেষ্টা করছে দু-একদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার।
এ বিষয় মহিপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মোতাহার হোসেন বলেন, যে পরিমাণ বিদ্যুতের খুঁটি ও তারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুরোপুরি ঠিক করতে তিন থেকে চারদিন সময় লাগবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ এরিয়াগুলোতে আজ এবং কালকের মধ্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এত পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যে পুরোপুরি লাইন সচল করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।