সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ১৮০ রানের বড় পুুঁজি সংগ্রহ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারের বিশ্বকাপের শুরুতে বেশ বিপাকে ছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। একটা সময় বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকা দলটিই কিনা সুপার এইটে রীতিমত উড়ছে।
সেন্ট লুসিয়ায় সুপার এইটের ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতেছে ৮ উইকেটে। ক্যারিবিয়ানদের ১৮০ রান পেরিয়ে গেছে ১৫ বল আগে। রান তাড়ায় ওপেনার সল্ট ৪৭ বলে অপরাজিত ছিলেন ৮৭ রানে। ২৬ বলে ৪৮ করে তাকে সহায়তা যোগান বেয়ারস্টো।
১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উড়ন্ত শুরু করেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও জস বাটলার। গড়েন ৬৭ রানের অনবদ্য জুটি। বাটলারকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন রস্টন চেজ। ২২ বলে ২৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর দ্রুতই আরেক উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। দলীয় ৮৪ রানের মাথায় ফেরেন মঈন আলী। ১০ বলে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। ফিল সল্ট ও জনি বেয়ারস্টোর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৫ বল হাতে রেখেই জয় পায় দলটি। এই দুইজন গড়েন ৯৭ রানের জুটি। ৪৭ বলে ৮৭ করে সল্ট ও বেয়ারস্টো অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে ৪৮ করে।
টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে দুরন্ত শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং-জনসন চার্লস মিলে তুলতে থাকেন ঝড়। কিন্তু কিং আটকে যান চোটে। ১৩ বলে ২৩ করা এই ব্যাটার কুঁচকিতে টান পড়ে বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে।
অনাকাঙ্ক্ষিত ধাক্কায় ইনিংস শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এরপর জনসন চার্লসের সঙ্গে মিলে টানতে থাকেন নিকোলাস পুরান। তবে শুরুর আগ্রাসন কমে যায়। দুজনেই ডট বলের চাপ বাড়ান।
দ্বাদশ ওভারে দলের ৯৪ রানে চার্লসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মঈন আলি। ৩৪ বলে ৩৮ করেন ক্যারিবিয় ওপেনার। অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল নেমে পড়তি রানরেট তোলার চেষ্টা চালান প্রবলভাবে। তার উপস্থিতিতে রান বাড়ে দ্রুত। ১৭ বলে ৫ ছক্কায় ৩৬ করে লিয়াম লিভিংস্টোনের স্পিনে তিনি ফিরলে ফের থমকে যায় স্বাগতিক দল। আরেক দিকে পুরান আর ঝড় তুলতে পারেননি। ৩২ বল লাগিয়ে ৩৬ রান করে তিনি বিদায় নেন।