বাগেরহাটের মোংলায় পূর্ণিমার জোয়ার আর অতি বৃষ্টির কারনে ফুসে উঠেছে নদী এবং উত্তাল সাগরও। তাই স্বাভাবিকের তুলনায় বিপৎসীমার ৪ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পশুর নদীর পানি। এতে সুন্দরবন সহ উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জানা গেছে, ২ফুট উচ্চতার পানিতে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র এলাকাতে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরের নিম্নাঞ্চলে পানির চাপ ও উচ্চতা আরো বেশি। গোটা সুন্দরবনই স্থান বিশেষ দুই থেকে ৪ফুট উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে। তবে বনের অভ্যন্তরে মাটির উঁচু টিলা থাকায় বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন না বনবিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির বলেন, গত তিন দিন ধরে সুন্দরবনের ভিতরে পানি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে বনসহ বনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের রাস্তাঘাট। তবে পানিতে বনের ও করমজলের বন্যপ্রানীর কোন ক্ষয়ক্ষতি এখনও পর্যন্ত চোখে পড়েনি বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বনের অভ্যন্তরে উঁচু টিলা থাকায় সেখানে আশ্রয় নিতে পারছে বন্যপ্রানীরা। সুতরাং বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির আশংকা তেমন একটা নেই।
বাগেরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী কুমার স্বস্তিক জানান, পূর্ণিমার গোন, অতি বৃষ্টি ও সাগর উত্তাল থাকার কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি বেড়েছে মোংলার পশুর ও মোংলা নদীতে। এই দুই নদীর পানি বিপদসীমার ৪ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে মোংলার উপকূলে নিম্নাঞ্চল।