সংবাদ সারাদেশ

ওয়ার্ড মেম্বর ফনিভুষনের চক্রান্ত, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নড়াইলের  লোহাগড়া উপজেলার নারানদিয়া গ্রামে  গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে ডাকাতি মামলায় প্রতিপক্ষের সাধারন জনগনকে জড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে তৃতীয় পক্ষ।

এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রোববার (২১অক্টোবর)  লোহাগড়া পৌর প্রেসক্লাবে  সংবাদ সম্মেলন করেছে  ডাকাতি/দস্যুতা মামলার বাদী পল্লব বিশ্বাস।

লিখিত বক্তব্যে পল্লব বিশ্বাস জানান, লোহাগড়া থানায় ২৮/১০/২০২২ তারিখের ২০নং  মামলাটি বর্তমানে যশোর  পিবিআই তদন্ত করছে। আমার স্বগ্রামী মেম্বর ফনিভূষন বিশ্বাস গোপনে স্ব প্রনদিত হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার মামলায় হস্তক্ষেপ করছে। তিনি আমার গ্রামের বিভিন্ন লোকদের এই মামলায় আসামি করার হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি আমার প্রতিবেশী স্কুল শিক্ষক বলাই কুমার মল্লিককে এই মামলায় ঢুকায় দেবে এবং চাকুরী খেয়ে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় বলাই থানায় একটি জিডি করেছেন। ফনিভূষন আমাকে না জানিয়ে অযাচিতভাবে বিভিন্ন সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে হয়রানি করছে।  মেম্বর ফনিভূষন  ষড়যন্ত্র এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে  গ্রাম্য রাজনীতি,প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে আমার প্রতিবেশী আশিষ মৈত্রকে এই মামলায় জড়ানোসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার করছে।

উদ্দেশ্যমুলকভাবে অন্যের ক্ষতি করার সার্বিক বিষয়টি অবগত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আমি এফিডেভিটের মাধ্যমে অবহিত করেছি।

পল্লব বিশ্বাস জানান, দস্যুতার ঘটনায় আমি কাউকে চিনতে পারিনি। আমি মামলার বাদী অথচ আমার অনুমতি ব্যতিত মেম্বর ফনিভূষন সংবাদ মাধ্যমে ও সামাজিকভাবে আশিষ  কুমার মৈত্র ও বলাই কুমার মল্লিকসহ অন্যান্যের  এই মামলায় সম্পৃক্ত করার যে হীন  চক্রান্ত করছে তার বিরোধিতা সহ প্রত্যাখ্যান করছি। ফনিভূষনের কার্যকলাপে মনে হয় তিনি এ ঘটনায় জড়িত।

এ ছাড়া তিনি নারাদিয়া সরকারী  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাপ্তরিক পদে ওই গ্রামের  রিপন কুমার বিশ্বাসের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়। পরবর্তীতে চাকরী দিতে না পারায় টাকা ফেরত চাইলে রিপনকে হুমকি দেয় এবং রিপনের পৈত্রিক সম্পত্তি অন্যের সম্পত্তিতে  রুপান্তরিত করার জন্য মেম্বর ফনিভূষন ভূয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরী করে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বক্তব্য নিতে মেম্বর ফনিভূষন এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

পল্লব বিশ্বাস আরো বলেন, মেম্বরের নির্বাচনের সময় তার বড় ভাইয়ের মেয়ের জামাই বিশ্বজিৎ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অবৈধভাবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে স্কুল শিক্ষক প্রতিবাদ করে।

তখন বিশ্বজিৎ তাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়েছিল।আর সেই প্রতিশোধপরায়নতার সাথে শশুর ফনিভুষনের গ্রাম্য রাজনীতি যোগ হয়ে তারা উভয়েই মরিয়া হয়ে চক্রান্ত শুরু করে। বিশ্বজিৎকে নিয়ে ফণিভুষন পিবিআই অফিস সহ সরকারী বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের দপ্তরে এই মামলায় তাদেরকে আসামি করার উদ্দেশ্যে দৌড় ঝাপ করতে থাকে।

এছাড়াও নারান্দীয়া গ্রামের চুনু বিশ্বাসের ছেলে প্রান বিশ্বাস এবং নিত্য মল্লিকের ছেলে হিরামন মল্লিক ( ঢাকায় অধ্যয়নরত) কে ও এই মামলায় আসামী করার চক্রান্ত সহ বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে। ফণিভুষন মেম্বর এবং তার অপরাধ চক্র গ্যাং আমার মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে সন্দেহ করার মতো যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারন রয়েছে বলে আমি মনে করি এবং এখন পরিস্থিতি দৃষ্টে আমি তাকে সন্দেহ করি।

 

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button