পশুর নদে গ্যাস ও কয়লাবাহী জাহাজের সংঘর্ষ, জেলে নিখোঁজ
মোংলা বন্দরের কাছে পশুর নদে এলপিজিবাহী জাহাজের ধাক্কায় একটি কয়লাবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় পাশে থাকা কাঁকড়া ধরার নৌকায় পাঁচ জেলে নদীতে ছিটকে পড়েন। তাঁদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করা হলেও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ মাঝি আব্দুল হাকিম (১৮)। তিনি খুলনা জেলার দাকোপ থানার রুয়ো কাটা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে উদ্ধারে আজ শনিবার সকাল থেকে অভিযান চালায় মোংলা কোস্ট গার্ড। তবে দুপুর পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানায়, বন্দরে অবস্থানরত বাংলাদেশি পতাকাবাহী ‘এমভি রয়েল ইমেজ’ থেকে এমভি মিজান নামে একটি লাইটার জাহাজ ৫০০ টন কয়লা বোঝাই করে যশোরে যাচ্ছিল। এসময় উল্টো থেকে আসা এলপিজিবাহী জাহাজ ‘এমভি এরা স্টার’ ধাক্কা দিলে ওই লাইটার জাহাজটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। বন্দরের জাহাজ সারথী সেটিকে উদ্ধার করে। তবে এসময় নদীতে কাঁকড়া ধরার নৌকায় থাকা পাঁচজন জেলে ছিটকে পড়েন। চারজন উদ্ধার হলেও আব্দুল হাকিম নামের এক জেলে নিখোঁজ থাকেন। তাঁকে উদ্ধারে আজ সকাল থেকে দুর্ঘটনাস্থল পশুর নদের করমজল এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি।
কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) পেটি অফিসার (ড্রাইভার ব্রাঞ্চ) মো. জাকির বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃক কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনকে জানালে তাৎক্ষণিক কোস্ট গার্ডের দুটি টহল বোট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযান এখনো চলছে।
এদিকে এলপিজিবাহী জাহাজের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত লাইটার জাহাজ এমভি মিজানের মালিক সোহাগ মোল্লা বলেন, তাঁদের ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।