
একের পর এক ছিনতাই, সন্ত্রাসী ঘটনায় রাতে ঢাকায় ভয়-আতঙ্ক নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে নাগরিকদের। রাত হলেই যেন আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা। ঢাকার অপরাধ দমনে রাতে-দিনে কাজ করছে পুলিশ।
রোববার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে, মিরপুরে মাদক ব্যবসার আধিপত্যের জেরে খুন হয় এক শ্রমিক।
এলাকাবাসী জানায়, রনির প্রতিপক্ষের কয়েকজন এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তাকে। মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়াতেই খুন হয়েছেন রনি, এমনটাই মনে করেন তারা।
তাদের অভিযোগ, এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। যাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঘটছে বিবাদ। এসব অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি সবার।
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন তারা। এ সময়, একজন সন্দেহভাজনকে আটক করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে পুলিশের পল্লবী জোনের এডিসি মো. জাকারিয়া জানান, ছুরিকাঘাত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
একই রাতে রাজধানীর শান্তিনগরে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৪ জনকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে এলাকাবাসী। পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয় তাদের।
স্থানীয়রা জানান, এক বাড়ির মালিকের কাছে ১০ জনের একটি দল চাঁদা দাবি করে। খবর পেয়ে ছুটে আসে এলাকাবাসী।বাড়ির মালিক জানান, তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা দাবি করে তারা। জোরপূর্বক টাকা আদায় করতে চাইলে একপর্যায়ে তাদের আটক করে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা।
পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুর রহমান, চাঁদাবাজির অভিযোগে ৪ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার কথা রয়েছে।
এমন চাঁদাবাজি কিংবা সংঘাত-হানাহানির রাত নয়, বরং একটু স্বস্তিতে চিন্তামুক্ত হয়ে ঘুমাতে চায় সাধারণ মানুষ। মানুষের আশা দ্রুত সময়ের মধ্যেই জনমনের আতঙ্ক দূর হয়ে স্বস্তি ফিরে আসবে।