
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজত থেকে পালানো জলদস্যু রফিক উল্লাহকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইন্যাখালী ২ নম্বর ওয়ার্ডে সৎ বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে চমেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান রফিক। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই কনস্টেবল মামুন ও আব্দুল কাদিরকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পর নগর পুলিশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি বিশেষ দল তাকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে এবং অবশেষে তাকে ধরা সম্ভব হয়েছে। রফিকের বিরুদ্ধে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দণ্ডবিধির ২২৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
পুলিশ জানায়, রফিক উল্লাহ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মফিজুর রহমান মজু বলি। গত ১৬ মার্চ কোস্ট গার্ডের এক অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় গোলাগুলিতে তার পায়ে গুলি লাগে। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৩ মার্চ চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশের অভ্যন্তরীণ তথ্য অনুযায়ী, রফিক উল্লাহর বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মোট ১৩টি মামলা রয়েছে।