চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের দাবিতে স্মারকলিপি

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্রীয় সংগঠক সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপদেষ্টা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মহাসড়কটি সংস্কার ও ৬ লেনে উন্নীত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

স্মারকলিপিতে মহাসড়কের বর্তমান সমস্যা চিহ্নিত করে ৯ দফা দাবি তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে রয়েছে—অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ৬ লেনে উন্নীতকরণ, বিপদজ্জনক বাঁকগুলোর নকশাগত পরিবর্তন, পৃথক এক্সপ্রেস লেন ও স্মার্ট ট্র্যাফিক সিস্টেম চালু, পর্যাপ্ত ট্র্যাফিক পুলিশ নিয়োগ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, লবণবাহী ট্রাকের জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়ন এবং জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ওভারপাস-আন্ডারপাস নির্মাণ।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ বাংলাদেশ চাই-এর মুখপাত্র রায়হান উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠক তারেকুজ্জামান, অ্যাক্টিভিস্ট ফরহাদ শাকিব এবং হোটেল রয়েল বিচের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আনোয়ার।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাদিক কায়েম বলেন, “চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে। সরু ও ত্রুটিপূর্ণ নকশার কারণে এ সড়ক ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে এটিকে ছয় লেনে উন্নীত করে নিরাপদ সড়কে রূপান্তর করতে হবে।”

এর আগে গত ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান, ৯ এপ্রিল “আমরা ১১ জন (নিহত)” ব্যানারে পদযাত্রা ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি এবং ১১ এপ্রিল নগরের সিআরবি রেল ভবনে আরেকটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, ঈদের দিন থেকে টানা চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হন। ওই দুর্ঘটনাস্থল চুনতি জাঙ্গালিয়া সরেজমিনে পরিদর্শন করেন মুক্তিযুদ্ধ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক।