ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে গভীর রাতে ৭৫০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় জনতার সক্রিয় প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ত্রিপুরা রাজ্যে আটক থাকা ৬০০ জনের বেশি এবং রাজস্থানে আটক ১৪৮ জনকে পুশইনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএফ। এদের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক, কিছু রোহিঙ্গাও রয়েছে।
ঘটনার রাতে বিএসএফ বিপুলসংখ্যক মানুষ নিয়ে সিঙ্গারবিল সীমান্তে জড়ো হলে বিজিবি সতর্ক অবস্থান নেয়। পাশাপাশি স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জনগণকে জড়ো হতে বলা হয়। সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী ও নোয়াবাদী সীমান্তে শত শত মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। অনেকেই ফেসবুক লাইভে এসে অন্যদের উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানান। এক পর্যায়ে জনতার চাপ ও বিজিবির কঠোর অবস্থানের মুখে পিছু হটে বিএসএফ।
সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাচ্চু মিয়া জানান, “রাতেই খবর পেয়ে সবাইকে সীমান্তে যেতে বলি। লোকজন জড়ো হলে বিএসএফ সরে যায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।”
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মামুন চৌধুরী বলেন, “বিএসএফের পুশইন চেষ্টার খবর পেয়ে মাইকিং করা হয়। পরে শত শত মানুষ জড়ো হলে তারা পিছু হটে। তবে কতজন ছিল তা নিশ্চিত নয়।”
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, “বিজিবি ও স্থানীয়দের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে পুশইন চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সীমান্তে এখনো সবাই সতর্ক রয়েছে।”
বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ জানান, “ঘটনার খবর পাওয়ার পর বিজিবি তৎপরতা চালায়। স্থানীয়রাও সহযোগিতা করেছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”



