সংবাদ সারাদেশ

ঋনের কিস্তি দিতে না পারায় আটকে রেখে গৃহবধুর আংটি ও বদনা নিলো এনজিও

মোহনা অনলাইন

সময়মতো কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধুর আংটি ও বদনা নিয়ে গেছে এনজিও কর্মীরা। এমনকি কিস্তি আদায়ের পাস বইয়ে আংটি নাকফুল বদনা বাবদ টাকাও জমা করে দিয়েছে ওই এনজিও প্রতিষ্ঠান।

এমন অমানবিক কান্ড ঘটিয়েছে ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখা। ঘটনার শিকার গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা (২২) বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তবে এনজিওটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবী গৃহবধূ খুশি হয়ে তাদের হাতে আংটি, নাকফুল ও বদনা তুলে দিয়েছেন।

কান্নাজড়িতকন্ঠে গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা সাংবাদিকদের জানান, তিনি ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখা থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন। লাভসহ তার ৪৫ হাজার ১২০ টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু সামান্য কিছু টাকা বাকী থাকতে তাঁর স্বামী রিপন কাজের জন্য এলাকা ছাড়েন। এরপর কয়েকটি কিস্তি খেলাপী হলে গত ২৯ অক্টোবর ১০ টায় ওই ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর কর্মীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। অফিসে নিয়ে তাকে ও তার ৩ বছরের কণ্যা শিশুকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে এনজিও কর্মী ও কর্মকর্তারা ফিল্ড থেকে ফিরে বিকেলে জোরপূর্বক শ্রাবণী হীরাকে দিয়ে ২টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বাধ্য করে হাতের আংটি, নাকফুল ও পিতলের একটি বদনা নিয়ে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এ সময় তার শিশুটি ক্ষুধার জন্য ছটফট করছিল। ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি।

এ ব্যাপারে জানতে ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ বলেন, ‘গৃহবধূ শ্রাবণীর কিস্তি খেলাপী ছিল। তার কাছ থেকে নাকফুল নেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখব।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button