আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা ও অস্ত্র ঢুকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়…যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে।’
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন হলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলন’-এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী এ কথাগুলো বলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন—
“প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে।”
“আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে।”
“পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে।”
“ওসি সাহেব সকালবেলা আপনার প্রোগ্রাম জেনে নিয়ে আপনাকে প্রটোকল দেবেন।”
এ ধরনের বক্তব্য শুধু বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি অপমান, মানহানি, হীন প্রচেষ্টা এবং সংবিধানসম্মত দায়িত্ব ও পেশাদারিত্বকে অবমাননাকর I
বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের অবস্থান স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন
১. বাংলাদেশ পুলিশ রাষ্ট্রীয় শপথ অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, পেশাদার ও আইনকেন্দ্রিকভাবে কাজ করে থাকে। কোনো দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তির “কথায় ওঠা–বসা” করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর।
২. আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের বক্তব্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিপর্যস্ত করতে পারে।
৩. এসব মন্তব্যের মাধ্যমে জনমনে পুলিশ সম্পর্কে ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের দাবি জনাব শাহজাহান চৌধুরী প্রদত্ত মানহানিকর বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অপমান ও বিভ্রান্ত করার জন্য তাঁর জনসম্মুখে দুঃখপ্রকাশ করা আবশ্যক।
ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক নেতা বা ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য, মিথ্যা তথ্য বা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকবেন—এটাই প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ পুলিশ সংবিধান, আইন এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের প্রতি অটল৷ এ ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য, এবং বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশন এতে গভীর অসন্তোষ জানাচ্ছে।



