উন্নয়ন অর্জন আর সক্ষমতায় পচাত্তর বছরে পা দিয়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দর। সোমবার (১ ডিসেম্বর) জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে মোংলা বন্দর উদযাপন করলো প্লাটিনাম জয়ন্তী।সকালে র্যালি ও বেলুন কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান। শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে বন্দরে অবস্থানরত সব জাহাজে একযোগে হুইসেল বাজিয়ে উৎসবের সূচনা করা হয়।
জেটি এলাকায় অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোঃ শফিকুল ইসলাম সরকার, সদস্য (অর্থ) ও পরিচালক (প্রশাসন) (অ:দা:) কাজী আবেদ হোসেন (যুগ্মসচিব), সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) ড. এ. কে. এম. আনিসুর রহমান (যুগ্মসচিব), পরিচালক (বোর্ড) কালাচাঁদ সিংহ (যুগ্মসচিব), ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, হারবার মাস্টার, কর্নেল মো: ফিরোজ ওয়াহিদ, বিভাগীয় প্রধানগণ, বন্দরের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বন্দর ব্যবহারকারীগণ।
এদিন কৃতিত্বপূর্ণ কাজে ২১ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৯ প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৫৬ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বন্দর কতৃপক্ষ বলছে, অর্জনের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্দর সব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। এখানে
লক্ষ্যমাত্রার ১৭.২৫% বেশি কার্গো হ্যান্ডেলিং করা হয়েছে। কন্টেইনার ২১,৪৫৬ টিইইউজ (৭.২৮% বেশি)। এতে রাজস্ব আয় ছাড়িয়েছে ৩৪৩.৩০ কোটি টাকা এবং বন্দর নীট মুনাফা করেছে ৬২.১০ কোটি টাকা (২০৩% বেশি)। বর্তমানে প্রতি ঘণ্টায় ২৪টির বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ও একসঙ্গে ৫ জাহাজ পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে বন্দর। এছাড়া
ড্রেজিং, সহায়ক জলযান সংগ্রহ, জেটি নির্মাণ, বন্দর সম্প্রসারণ—এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বন্দর বছরে ১.৫০ কোটি টন কার্গো ও ৪ লক্ষ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা পাবে।
মোংলা বন্দর একদিকে যেমন দক্ষিণাঞ্চলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের রুট সম্প্রসারণ করেছে তেমনি রাজস্ব আয়ে যুক্ত করছে নতুন পালক।



