শেরপুরের পাহাড়ি অঞ্চলের প্রসূতি মায়েদের ভরসার প্রতীক এখন প্রণীলা ম্রং
শেরপুর প্রতিনিধি : রেজাউল করিম বকুল
শ্রীবরদীর গারো পাহাড়ের দিঘলাকোনা গ্রামের বাসিন্দা প্রণীলা ম্রং। হতদরিদ্র পরিবারের এই নারী এসএসসি পাশ করলেও অর্থের অভাবে আর পড়ালেখা করতে পারেনি। এখানকার দিঘলাকোনা, দার্শিকোনা, হারিয়াকোনা, বাবেলাকোনা, লাউচাপড়া ও বালিঝুড়ি গ্রামসহ আশপাশের পাহাড়ি গ্রামগুলো উপজেলা শহর থেকে ৩০–৩৫ কিলোমিটার দূরে। যাতায়াত ব্যবস্থাও নাজুক। স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত ওইসব গ্রামের গর্ভবর্তী মায়েরা এক সময় দিন কাটাতো আতংক আর উৎকন্ঠায়। প্রায় ৯ মাস আগে প্রণীলা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাসের স্থায়িত্বশীল জীবিকায়ন ও সহনশীলতা কর্মসূচীর আওতায় মিড ওয়াইফ রুরাল প্রশিক্ষণ নেন। এরপর থেকেই সাধারণ স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি শুরু করেন নরমাল ডেলিভারি। ধীরে ধীরে স্থানীয়দের কাছে হয়ে ওঠেন আস্থার নতুন ঠিকানা।
উপকারভোগীরা বলছেন, কোন প্রসূতী মা সমস্যায় পড়লে চাইলেই শহরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে না। এখন প্রণীলাই তাদের আশার আলো।
প্রণীলা ম্রং জানালেন, এখন প্রসূতী মায়েরা সরাসরি কিংবা মুঠো ফোনে কথা বলে সমাধান পাচ্ছেন। ওইসব মায়েদের বুকে ফুটফুটে শিশু তুলে দেয়াই তার বড় প্রাপ্তি।
এনজিও কর্মকর্তা ও মিশনের ফাদার বলছেন, এই পাহাড়ি জনপদে মায়েরা সন্তান প্রসবের সময় বিপাকে পড়েন। এ জন্য প্রণালীকে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেয়া হয়। এখন দক্ষতার সাথে সে কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে ওই ধাত্রীর জন্য সহযোগীতার হাত সব সময় খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা।