সেনবাগে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
এম এ আউয়াল সেনবাগ(নোয়াখালী)প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সেনবাগে দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার হুমকি,ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় পৃথক স্হানে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মোহাম্মদপুর ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: কামাল উদ্দিন মিয়াজি তার দক্ষিণ রাজারামপুর বাড়ীতে এ সংবাদ সম্মেলন করে।সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন,নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী ফিরোজ আলম ভূঞা রিগানের সমর্থক ও বহিরাগত লোকজনের অব্যাহত হুমকি,প্রচার গাড়ীতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৯টি কেন্দ্রে ৯জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের দাবী করেন তিনি।
এ ব্যাপারে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী ফিরোজ আলম ভূঞা রিগান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অপরদিকে,উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা আবু বক্কর ভূঞাকে হত্যার হুমকি,হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে রোববার রাত সাড়ে ৯ নয়টায় তার কেশারপাড়স্হ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
তিনি বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেলাল ভূঞা একটি লাইভ থেকে তাকে হত্যার হুমকির রেকডিং গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে তুলে ধরে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভাড়া করা সন্ত্রাসী এনে তার নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। তিনি কেশারপাড় ইউনিয়নের ৯ টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ দাবী করে প্রতি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ও পুলিশী টহল জোরদারে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে দুই শতাধিক কর্মী সমর্থক উপস্হিত ছিলেন।এ দিকে সোমবার বিকেল ৫ টা ২০ সময় দক্ষিণ কেশারপাড় ক্লাবঘর এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী আবু বক্কর ছিদ্দিক ভূঞার সমর্থক মো: ইউছুফ (৪০) কে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
গুরুত্বর আহত ইউছুফ কে স্হানীয় লোকজন উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে টহল বৃদ্ধি করেছে।
এ ব্যাপারে বেলাল ভূঞার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
বর্তমানে কেশারপাড় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।যে কোন মুহুর্তে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার সকালে দু’পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় ১২ জন আহত হয়েছিলো। সোমবার সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম মোহনা টেলিভিশন কে বলেন,নির্বাচনী সহিংসতা এড়াতে এবং প্রার্থীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সেনবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি মোহনা টেলিভিশন কে বলেন,দুই প্রার্থী একই এলাকার এবং চাচাতো জেঠাতো ভাই।দুইজনই সাবেক চেয়ারম্যান।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।