নওগাঁয় ধানের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় বাড়ছে পানের চাষ
নওগাঁর মান্দা প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দা-নিয়ামতপুর ও মহাদেবপুর উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে পানের চাষ। ধান, আলু, কলা,সহ অন্যান্য ফসলের চেয়ে পান চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন পান চাষে। জেলার মান্দা নিয়ামতপুর ও মহাদেবপুর উপজেলার বেশকিছু গ্রামের মাঠে নিজ মেধা ও উদ্যোগে পান চাষ করে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন কৃষকরা।
তবে জেলায় পান বিক্রির নির্ধারিত কোন পাইকারি হাট বা বাজার নেই। ফলে পার্শ্ববর্তী জেলা রাজশাহীতে পান বিক্রি ও ক্রয় করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় পান চাষি ও পান ব্যবসাইদের। জেলায় লাভজনক ফসল পানের চাষ বাড়াতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
মান্দা উপজেলার কুশুম্বা গ্রামের লুৎফর রহমান ও নিয়ামতপুর উপজেলার অমল তালুকদার জানান, ধানের চেয়ে পান চাষ লাভজনক হওয়া তারা পান চাষের দিকে ঝুঁকছেন,কিন্তু পান চাষের জন্য তারা কোন সরকারী ভাবে কোন প্রণোদনা পাইনি তারা, সরকারীভাবে পান চাষে প্রণোদনা পেলে পান চাষে আরো সফল হতো বলে জানান তারা।
মহাদেবপুর উপজেলার সফাপুর গ্রামের আব্দুর রহিম, আকবর আলী জানান, আমরা আগে এই জমিগুলোতে ধান চাষ করতাম ধানের চেয়ে পান লাভজনক ফসল হওয়া এখন আমরা পান চাষের দিকে ঝুঁকেছি, সরকারি ভাবে পান চাষে প্রণোদনা চায় তারা।
পান ব্যবসায়ী নিয়ামতপুর হাটখোলার মুক্তিয়ার হোসেন, দেলুয়াবাড়ির আফসার উদ্দিন জানান,তাদের পান ক্রয়ের জন্য জেলায় নির্ধারিত কোন পাইকারি হাট-বাজার নেই। ফলে পার্শ্ববর্তী জেলা রাজশাহী থেকে পান ক্রয় করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ার পাশাপাশি পান ক্রয় খরচও হয় বেশি । তাই জেলায় একটি পানের হাট বা বাজার সৃষ্টির দাবি ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শায়লা শারমিন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ২৫০ বিঘা জমিতে পান চাষ হয়েছে। পান চাষে আরও আগ্রহী করতে আধুনিক এবং প্রযুক্তিগত সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।