৭দিন জিম্মি থাকার পর মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এলেন ৮ জেলে
সবুজ হাওলাদার,মোংলা প্রতিনিধি
দস্যুদের কবলে ৭দিন ধরে জিম্মি থাকা ৮ জেলে মুক্তি পেয়েছেন ১লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে।
গত ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে সুন্দরবনের হরিণটানা টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন কলামুলো, আলকি, তাম্বুলবুনিয়া ও হরমলসহ বিভিন্ন খালে কাকড়া ও বর্শি ধরা ৮জেলেকে মুক্তিপণের দাবীতে অপরহণ করে নিয়ে যায় একদল বনদস্যু।
মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনা জেলেদের পরিবারের সদস্য নাসির শেখ, সোহরাব শেখ, ফারুক খান ও শেখ মো: মারুফ বিল্লাহ জানান, সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কার্যালয় থেকে বৈধ পাস পারমিট নিয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর সুন্দরবনে কাকড়া ও বর্শি দিয়ে মাছ ধরতে যান জেলেরা। এ সকল জেলেরা বনের বিভিন্ন খালে কাকড়া ও মাছ শিকারকালে একদল বনদস্যু তাদের উপর হামলা ও লুটপাট চালায়। মারধরসহ জেলে নৌকার মাছসহ অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়ার পাশাপাশি প্রতি নৌকা থেকে একজন করে জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যান এ দস্যু বাহিনী।
ওই দস্যু বাহিনীর কাছে ৭দিন জিম্মি থাকার পর মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে মুক্তিপণের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পেয়ে জেলেদেরকে বনবিভাগের হরিণটানা টহল ফাঁড়িতে উঠিয়ে দেয় ডাকাতরা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে জেলেরা ছাড়া পেয়ে হরিণটানা টহল ফাঁড়ির ট্রলারে বুধবার সকাল ৮টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জ অফিসে আসেন। এরপর মোংলা থানা পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুপুর ১২টার দিকে থানায় নিয়ে যান।
মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়ে আসা জেলেরা হলেন, খুলনার বটিয়াঘাটার বুজবুনিয়া গ্রামের মৃত জহুর শেখের ছেলে মো: আকরাম শেখ (৪২), বুজবুনিয়ার মৃত মোশারেফ খাঁনের ছেলে মো: রফিকুল ইসলাম খাঁন (৩৫), খুলনার রুপসার আলাইপুর গ্রামের মুসা শিকদারের ছেলে ওলি শিকাদার (৪৮), বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে বখতিয়ার ব্যাপারী (৩৫)। মোংলার দক্ষিণ হলদিবুনিয়া গ্রামের নাসির উদ্দিন শেখের ছেলে আনিস শেখ (২২), একই গ্রামের সোহরাব শেখের ছেলে মিলন শেখ (২৩), বৈদ্যমারী গ্রামের জামাল ব্যাপারীর ছেলে শুকুর আলী ব্যাপারী (৩০), একই গ্রামের আলতাফ ব্যাপারীর ছেলে মনির ব্যাপারী (৩৬) ।