বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। পূর্বাচলে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হলো মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।

আজ (১ জানুয়ারী) আন্তজার্তিক বানিজ্য মেলার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতি করতে আসিনি দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। বাবা-মা পরিবার হারিয়ে এদেশে দুর্নীতি করতে ফিরে আসিনি। সব হারিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে এসেছি। ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর আমোদের সরকারের একটি নীতিমালা ছিল ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণ করা সেটাই করেছি।’

এর আগে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) পূর্বাচল নতুন শহরের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করবেন।

তিনি বলেন, মেলায় যাতায়াতে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ছাড়া যাতায়াতের সুবিধার জন্য গত বছরের মতো শাটল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

বাসের ভাড়া ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মেলা চলাকালীন বাসগুলো চলাচল করবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মেলা রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

মেলায় প্রবেশ মূল্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মেলার প্রবেশ মূল্য ৪০ টাকা, আর অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। তবে মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকবে। মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

এবারের বাণিজ্য মেলায় ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আমাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লাভের উদ্দেশ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয় না। গত বছরও এ মেলায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য রফতানির স্পট অর্ডার পাওয়া গেছে। স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টার একটু দূরে হলেও মেলায় অংশ নেয়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এ মেলার মাধ্যমে আমরা আমাদের তৈরি পণ্য দেশি-বিদেশি সবার কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাই। ক্রেতারাও  দেশি-বিদেশি পণ্যের মধ্যে তুলনা করার সুযোগ পান, এতে করে পণ্যের মানও উন্নত হয়। বাংলাদেশের তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরাই এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মূল উদ্দেশ্য।’

 
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button