ছেলের মৃত্যুর রহস্য জানতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন
বরিশাল প্রতিনিধি
ছেলের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে সাংবাদিক পুত্র মুসাব্বির খান জারিফের মরদেহ বরিশাল নগরীর মুসলিম গোরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মুসাব্বির খান জারিফ এ বছর নগরীর অক্সফোর্ড মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছে। জারিফ বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও আরটিভির প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী খান জসিমের একমাত্র সন্তান।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, জারিফের বাবার দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলন করে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গতকালই লাশ পুনরায় দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মামলার বাদী নিহত জারিফের পিতা মোহাম্মদ আলী খান জসিম জানান, দাফনের পরবর্তী সময়ের কিছু ঘটনা তার কাছে মৃত্যু অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি জারিফের ৪ বন্ধু বিকি দাস, অংকন, আসাদ ও বাধনকে আসামী করে মামলা করেন। ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারক আবেদন গ্রহন করে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, গেল ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে নগরীর কাটপট্টি এলাকার নিজ বাসা থেকে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে বের হয় জারিফ। ২৮ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে জারিফের মোবাইলে কল করা হলে রিসিভ করেনি। ২৯ জানুয়ারি আবারো মোবাইলে কল দেয়া হলে তাও রিসিভ না করায় পরবর্তীতে জারিফের বন্ধু বিকি’র মোবাইলে বহুবার কল দেয়ার পর দুপুর ৩টায় জানায় জারিফ মাদারীপুর লেকে গোসল করতে গিয়েছে বলে লাইন কেটে দেয়। ওই দিন শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে জারিফকে নিয়ে রওয়ানা দেয় বন্ধুরা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
জারিফে বাবা আরো জানান, সময় অতিবাহিত হলে বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া জারিফের মোবাইল খতিয়ে দেখে ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য খুজে না পাওয়া, স্থানীয়দের দেয়া বিভিন্ন তথ্যে জারিফের মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে নিশ্চিত হন। কয়েকদিন পর পুলিশ মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। পাশাপাশি বাদীর অভিযোগ জারিফকে মাদারীপুর হাসপাতালে ভর্তি করাসহ মৃত্যুর রহস্য চাপিয়ে রাখার পেছনে বড় ধরনের অপরাধ রয়েছে।