অর্থনীতি

এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কূটনৈতিক দক্ষতা বাড়াতে হবে

রেযা খান

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি, বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, আগামী বছরগুলোতে বিশেষ করে এলডিসি পরবর্তী যুগে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে ও সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের পোশাক শিল্প পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, প্রযুক্তির মানোন্নয়ন, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং পোশাক কূটনীতি প্রভৃতি বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, “ বাংলাদেশের এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণ একটি বিশাল অর্জন এবং জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। একইসাথে এই অর্জন দেশের সামনে চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের নতুন বাস্তবতা উপস্থাপন করবে।”

মঙ্গলবার ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পখাত মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হওয়ার পরের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ” বিষয়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স – ২০২৩ এর অংশগ্রহনকারীদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, “চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে গ্রাজুয়েশনের সম্ভাব্য সুবিধাগুলোর সুফল ভোগ করার জন্য বাংলাদেশকে ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।”

অতিথি বক্তা হিসেবে ফারুক হাসান তার বক্তৃতায় বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের শিল্প, বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোতে তাৎক্ষনিকভাবে যে প্রভাব পড়বে, তা হলো বাজার প্রবেশাধিকারে সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলো আসবে। “স্বলোন্নত দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ইইউ, কানাডা, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া এবং চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো কয়েকটি এশিয়ান দেশসহ প্রধান বাজারগুলোতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে।”

তিনি বলেন, গ্রাজুয়েশনের সাথে সাথে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য নির্দিষ্ট করা বিশেষ এবং অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য যোগ্য থাকবে না।

তিনি অভিমত প্রকাশ করে বলেন, “গ্রাজুয়েশন পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে তার কূটনৈতিক দক্ষতা বাড়াতে হবে। অগ্রাধিকারমূলক বাজারগুলোতে প্রবেশাধিকার হারানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার লক্ষ্যে এখন থেকেই আমাদের সম্ভাব্য বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোর সাথে এফটিএ, পিটিএ, আরসিইপি ইত্যাদি সহ দ্বি-পাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাগুলো সম্পাদনের বিষয়ে ভাবতে হবে।”

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, শিল্পটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে বৈচিত্র্যময় উচ্চ-মূল্যের পণ্য, বিশেষ করে ননকটন আইটেম তৈরিতে সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি পণ্য প্রক্রিয়া প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সক্ষমতা বাড়ানো, দক্ষতার ঘাটতি পূরণ ও উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেগুলোতে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button