জেলা সদরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝর্ণা আক্তার সুমি (২৬) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অপর এক নারী ও শিশুসহ গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
আজ রবিবার (২৮ মে) সকাল ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের মিয়ারবেড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
নিহত সুমি জেলার রায়পুর উপজেলার হায়দারগঞ্জ এলাকার সালেহ আহম্মেদ রুবেলের স্ত্রী। আহতরা হলেন- অজ্ঞাত পরিচয়ের নারী-শিশু ও লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারী জুয়েল হোসেন। এরা সবাই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, লক্ষ্মীপুর দক্ষিণ তেমুহনী থেকে যাত্রী নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি কমলনগরের দিকে যাচ্ছিল। এসময় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক রামগতি থেকে ছেড়ে আসা মায়ের দোয়া নামে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই সুমি মারা যান। এ সময় নারী ও শিশুসহ আরও তিনজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন।