সংবাদ সারাদেশ

চেয়ারম্যান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার

মোঃ আলমগীর হোসেন, কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

কেরানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর কোন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার 

দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কোন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার   মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক মূল আসামী তানু’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

আজ রোববার (২৮মে) কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে র‍্যাব-১০ এর সদর দপ্তরে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক এডিশোনাল ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

প্রেস ব্রিফিং এ তিনি জানান ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর কোনডা ১০ শয্যা হাসপাতালের ভিতর আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ১২ ডিসেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় গ্রেফতারকৃত তানুসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ গুলজার ও তানুসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমানে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় গত ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আসামী  তাজুল ইসলাম তানু, গুলজার, মোঃ জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ,  আহসানুল কবির ইমন, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু,  মোঃ আসিফ’দেরকে উক্ত আতিক উল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন।

আসামী তাজুল ইসলাম তানু, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, মোঃ আসিফ পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন। ইতিপূর্বে অন্যান্য আসামীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও উক্ত মামলার মূল পরিকল্পনাকারী তাজুল ইসলাম তানু আত্মগোপন করে ছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ  রোববার (২৮ মে)  র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সকালে রাজধানী ঢাকার বংশাল এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘদিন পলাতক মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী তাজুল ইসলাম তানু(৩৫)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত ঘটনার সাথে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। সে আরও জানায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরীর সাথে নির্বাচনের প্রার্থিতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ নিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপর আসামী গুলজারের সাথে বিরোধ চলছিল। এই শত্রুতার জের ধরে  সে নিজে ও গুলজারসহ অন্যান্য আসামিরা মিলে শম্পা নামে এক নারীর মাধ্যমে আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে হাসপাতালে ডেকে আনে। পরে রাতের আঁধারে পেট্রোল দিয়ে আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে পুড়িয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।  গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button