বাবার চালিত কভার্ডভ্যানের নিচে শুয়ে থাকাবস্থায় চাকায় পিষে ছেলের মৃত্যু!
আলফাজ সরকার আকাশ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
চালক বাবার সাথে কারখানার ভেতরে কভার্ডভ্যানে করে মালামাল নিয়ে প্রবেশ করেন ছেলে। দুপরের দিকে প্রচন্ড গরমে কন্টেইনার বহনকারী কভার্ডভ্যানের পাশেই ঘুমাচ্ছিলেন ছেলে। গাড়িটিকে সড়কে তোলার জন্য চালু করে অল্প এগিয়ে নেন চালক বাবা। এতে চাকার নিচে পিষ্ট হন ঘুমন্ত ছেলে। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লোহাগাছ গ্রামে ভিকার ইলেক্ট্রনিক্স কারখানার ভেতর।
সোমবার (৫ জুন) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তন্ময় হোসেন মেহেদী (২৩) চাঁদপুর সদর উপজেলার হামান কদরী গ্রামের মো. মিজানুর রহমান বাবুলের ছেলে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মিজানুর রহমান বাবুল বলেন, গত রোববার চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়ে সোমবার সকালে তারা একটি কন্টেইনার পরিবহন করে ভিকার ইলেকট্রনিক্সে আসেন। সোমবার দুপুরে কন্টেইনারে থাকা মালামাল খালাস হয়। এরপর চট্টগ্রামে ফেরত যেতে কারখানার গেট পাস দরকার হয়। গেট পাস আনতে তার সঙ্গে থাকা ছেলে তন্ময় হোসেন মেহেদীকে কারখানার অফিসে পাঠান। গেট পাস দিতে দেড়ি হওয়ায় ফেরত যান গাড়ির পাশে। এরপর তিনি গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুরে ঘুম ভাঙলে তিনি গাড়ি নিয়ে মূল সড়কে ওঠার জন্য সেটি চালু করেন। অল্প সামনে আগানোর পর গাড়ির নিচ থেকে চিৎকার শুনতে পান। গাড়ি থেকে নেমে দেখতে পান চাকায় পিষ্ট হয়েছেন তার নিজের ছেলে। এতে ঘটনাস্থলেই ছেলের মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, চাকার নিচে তার ছেলে ঘুমিয়ে থাকার বিষয়টি তিনি জানতেন না।
এ বিষয়ে কারখানার এডমিনের দায়িত্বে থাকা রুহুল আমিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মাহবুব নামের একজনের সাথে কথা বলতে বলেন। তিনি বলেন,””কারখানার এসব বিষয় স্থানীয় এমপির কাছের লোক মাহবুব দেখা-শুনা করেন। আপনি উনার সাথে যোগাযোগ করেন”।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) তাজমুল করিম মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, “বাবার গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ছেলে তন্ময় হোসেন মেহেদীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় মরদেহটি চট্টগ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে রওয়ানা করেছেন স্বজনরা।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এফ এম নাসিম বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। যেহেতু নিহতের স্বজনদের কোনো অভিযোগ নেই সেহেতু লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।