গত ৭ জুন ভোরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন নাজিরবাজার এলাকার চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত সড়ক দূর্ঘটনায় ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার মোঃ শফিকুল ইসলাম (২৭)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০ জুন ২০২৩ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় পটুয়াখালী জেলার সদর থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পলাতক ঘাতক ট্রাক ড্রাইভারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
সড়ক দুর্ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক ট্রাক ড্রাইভার শেরপুর জেলার সদর থানাধীন নয়াপাডা মোকসেদপুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ মিস্টার মিয়ার পুত্র মোঃ শফিকুল ইসলাম (২৭)।
আটকের বিষয়ে আজ রবিবার (১১ জুন) সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরেন র্যাব-৯ এর সিনিয়র এএসপি ও মিডিয়া অফিসার আফসান আল-আলম।
উল্লেখ্য, গত ০৭ জুন রোজ বুধবার ভোর আনুমানিক ০৪.৩০ টার সময় ৩০ জন নির্মাণ শ্রমিক প্রতিদিনের ন্যায় কাজের উদ্দেশ্যে একটি ডিআই পিকআপ যার রেজিঃ নং-সিলেট ন-১১- ১৬৪৭ যোগে সিলেট হতে তাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঘটনার দিন ভোর আনুমানিক ০৫.৪৫ টার সময় ঘটনাস্থল তথা এসএমপি-সিলেট এর দক্ষিণ সুরমা থানাধীন নাজির বাজারের নিকটস্থ কুতুবপুর নামক স্থানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা সিলেটগামী একটি আলুভর্তি ট্রাক যার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো ট-১৩-০৭৮০ এর সাথে শ্রমিকদের বহনকারী পিকআপটির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর নিহতদের লাশ ও গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে, গুরুতর আহতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও কয়েকজন সহ মোট ১৫ জন নির্মাণ শ্রমিক নিহত ও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় মৃত নির্মাণ শ্রমিক সায়েদ নূরের পুত্র বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯৮/১০৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়।
এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে র্যাব কাজ করছে।